উত্তরদিনাজপুর

বাঘের আতঙ্কে ঘর বন্দী উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের নয়াপাড়া গ্রামের মানুষরা

ইংরেজি নববর্ষের প্রথম মাসে  উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জে বাঘের দেখা মেলার পর ফের বাংলা নববর্ষের বৈশাখে দেখা মিলল বাঘের। শুধুমাত্র পার্থক্য ইংরাজি বাংলা নববর্ষের। মাত্র আড়াই তিন মাসের মধ্যে ফের বাঘের দেখা রায়গঞ্জে। রায়গঞ্জ ব্লকের বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের মহারাজপুরের নয়াপাড়া গ্রাম এলাকায় বাঘের আতঙ্কের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো। বাঘকে দেখার পাশাপাশি বাঘের পায়ের ছাপও দেখেছেন গ্রামবাসীরা। নয়াপাড়ার বাসিন্দা ঠাকুর দাস গত তিনদিন আগে নিজের জমিতে কাজ করতে গিয়েছিল। সেই সময় আচমকায় বাঘকে পাশের ভুট্টা ক্ষেতের ভিতরে ঢুকতে দেখেন। এই খবর জানাজানি হতেই সেখানে ছুটে আসে এলাকার বহু মানুষ। ভয়ে ওই এলাকার লোকজন নিজেদের জমিতে কাজ করতে যাওয়া বন্ধ করেছে। সন্ধ্যা হলেই বাড়ির বাইরে না বেড়িয়ে বাড়ির দরজা বন্ধ করে বাড়িতেই থাকছেন সকলে। বাঘের আতঙ্কে ভুগছে গোটা গ্রাম। ঠাকুর দাস মণ্ডল জানিয়েছেন, লম্বা লেজ ও গায়ে হলুদ কালো ডোরাকাটা দাগ এমন একটি জন্তু ভুট্টা ক্ষেতের ভেতরে ঢুকে পরলো। চোখের সামনে বড় জন্তু যে বাঘ ছিল তাতে কোন সন্দেহ নেই। এলাকার লোকজনকে এই ঘটনার কথা বলতেই সকলে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ভয়ে জমিতে কাজ করতে যাচ্ছে না কেউ।

সন্ধ্যা মন্ডল নামে গ্রামের এক গৃহবধু জানিয়েছেন, ঘটনা শোনার পর থেকে স্বামী ও ছেলেকে নিয়ে একই ঘরে রাত কাটাচ্ছি। সঙ্গে রাখছি লাঠি ও বাঁশ। দরকার না হলে বাড়ি থেকে কেউ বেরোচ্ছি না।

অন্যদিনে গোবিন্দ বিশ্বাস অপর এক গ্রামবাসী জানিয়েছেন, যেদিন থেকে বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়েছে গ্রামে সেই দিন থেকে এলাকায় কোন শিয়ালের ডাক শোনা যাচ্ছে না। আমার জমিতে বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে। আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি আমরা।

অপরদিকে জেলা বনদপ্তরের আধিকারিক দ্বিপর্ন দত্ত জানিয়েছেন, আমাদের কাছে এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন খবর নেই। গ্রামবাসীদের সজাগ থাকতে বলবো কোন ধরনের সন্দেহজনক ঘটনা ঘটলেই বন দপ্তরে যেন খবর দেয়। প্রয়োজনে আমরা ব্যবস্থা নিব। বন দপ্তর আশ্বাস দিলেও আতঙ্কে গ্রামবাসীরা।